আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোনে কেউ আড়ি পাতছে কি না বা কেউ আপনার অবস্থান শনাক্ত করছে কি না, তা বোঝা যায় ফোনের কিছু আচরণে। অসাধু চক্র দ্বারা আপনি ট্র্যাক বা ট্যাপড হচ্ছেন, এমন সন্দেহ হলে বেশ কিছু বিষয়ে কড়া সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকলে ঝুঁকির পরিমাণও কমিয়ে আনা সম্ভব।
ফোন একা একা বন্ধ হয়ে ফের চালু হওয়া
যদি আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোনের অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ (অটোমেটিক আপডেট) করার কোনো সেটআপ না করে থাকেন, তাহলে ফোন নিজে নিজে বন্ধ হয়ে আবার চালু হওয়ার (রিবুট) বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হোন। কেউ যদি দূর থেকে আপনার ফোনে প্রবেশের চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে।
অস্বাভাবিক শব্দ
কথা বলার সময় যদি ফোনে ক্লিক করা বা ট্যাপ করার মতো শব্দ শোনা যায়, এটি হতে পারে এটি আড়ি পাতার সংকেত। যদি শুধু একবার একটি কলে এমন শব্দ শোনেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। যদি প্রতিটি কলে কথা বলার সময় এমন শব্দ হয়, তাহলে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
অকারণে স্ক্রিনে আলো জ্বলা
অকারণেই ফোনের স্ক্রিনের আলো জ্বলছে, এ ধরনের লক্ষণও দুশ্চিন্তার। যদি অন্য কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না থাকে, তাহলে এ ধরনের সমস্যার মানে হলো আপনার ফোনে অন্য কেউ কিছু করছে, যা আপনার ফোন ধরতে পেরেছে।
দ্রুত চার্জ শেষ হওয়া
ফোন যদি ট্র্যাক করা হয়, অর্থাৎ আপনার মুঠোফোনের অবস্থান কেউ যদি অনুসরণ করে, তাহলে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যাবে। যেহেতু ফোনের নেপথ্যে স্পাইওয়্যার সব সময় সক্রিয় থাকে, তাই এটি দ্রুত ব্যাটারির চার্জ খেয়ে ফেলে।
অদ্ভুত বার্তা
অনেক স্পাইওয়্যার অচেনা (ফোন ব্যবহারকারীর কাছে) নম্বর থেকে অদ্ভুত বার্তা পাঠায়। এই বার্তায় এলোমেলোভাবে অক্ষর ও সংখ্যা থাকে। এগুলো আসলে একটি সংকেত। এর মানে হচ্ছে, সম্ভবত এই বার্তা বা টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে স্পাইওয়্যার আপনার ফোনে ঢোকার চেষ্টা করছে।
ফোন বেশি গরম
ফোন ছুঁয়ে দেখুন। স্বাভাবিকের চেয়ে কি বেশি গরম মনে হচ্ছে? তাহলে ফোনে স্পাইওয়্যার থাকতে পারে।
অচেনা অ্যাপ
নানা কাজের জন্য যেসব অ্যাপ ফোনে ব্যবহার করা হয়, ব্যবহারকারী সেই অ্যাপগুলো চেনেন। ফোনে যদি এমন অ্যাপ দেখেন যা আপনার অচেনা, তবে সচেতন হতে হবে। অপরিচিত অ্যাপ স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে প্রবেশ করে।
স্পাইওয়্যার মুছে ফেলতে যা করণীয়:
ফোনে স্পাইওয়্যার থাকার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমেই ফোনে অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার অ্যাপ নামিয়ে স্ক্যান করে সেগুলো মুছে ফেলতে হবে। এর পাশাপাশি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহারের পাশাপাশি ফোনে থাকা অপরিচিত অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে হবে। এরপরও স্পাইওয়্যার মুছে না গেলে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে। তথ্যসূত্র: উইকিহাউ