Connect with us

বিশেষ প্রতিবেদন

বাংলাদেশের আলু, পেঁয়াজ, ডিম ও ইলিশ নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায়

বাংলাদেশের আলু, পেঁয়াজ, ডিম ও ইলিশ নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায়

এবারের দুর্গাপুজোর সময়ে ভারতে যাবে না ইলিশ। এই বিষয়টি বাংলাদেশ অনেক আগেই নিশ্চিত করেছে। ড.মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইলিশের জোগান কম থাকায় রফতানি বন্ধ করে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। তবে আনন্দবাজর পত্রিকা বলছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর এ বার পদ্মার ইলিশ ঢুকছে না পশ্চিমবঙ্গে।

গণমাধ্যমটির দাবি ভারত থেকে ডিম আমদানি করে আমিষের চাহিদা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। ভিত্তিহীনভাবে কোন প্রমাণ ছাড়াই আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হচ্ছে ভারত ডিম রপ্তানি করায় বাংলাদেশে ডিমের দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে।

ভারতীয় গণমাধ্যমটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি আলুর বর্তমান মূল্য কমবেশি ৭০ টাকা। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে আলুর দাম ছিল ৪০-৪৫ টাকার আশপাশে। এই তথ্যটিও ভিত্তিহীন। বাংলা এডিশনকে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারী বাজারে আলুর দাম এখনো ৪৫ টাকা।

পেঁয়াজ নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করেছে আনন্দবাজার। পত্রিকাটিতে বলা হয়, হাসিনা সরকারের আমলে চেয়ে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম দেড় গুন বেশি।

পত্রিকাটিতে মুলত ইলিশ না পাওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। একই সঙ্গে বলা হচ্ছে হাসিনা সরকার না থাকায়,ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের অবণতি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

চীনের ২৫০ ব্যবসায়ী ঢাকায় আসছেন, বিদেশি বিনিয়োগে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ

চীনের ২৫০ ব্যবসায়ী ঢাকায় আসছেন, বিদেশি বিনিয়োগে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ

দেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পারস্পরিক বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং শিল্প, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো খাতে নতুন যৌথ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ উদ্যোগে আগামী ১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দিনব্যাপী ‘চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্মেলন’। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে চীনের প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী অংশগ্রহণ করবেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই প্রথম ঘটনা, যেখানে একটি নির্দিষ্ট দেশ থেকে এত বড় আকারে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি দল একযোগে বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

জানা গেছে, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির তালিকাভুক্ত (ফরচুন ৫০০) ৬ থেকে ৭টি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। একইসঙ্গে চীনের ৪টি প্রধান ব্যবসায়িক চেম্বারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিরাও এই সম্মেলনে অংশ নেবেন।

এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরি সোমবার (২৬ মে) নিজের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) দেওয়া পোস্টে লেখেন, ‘এই সম্মেলন শুধু বিনিয়োগ আনয়নের বড় সুযোগ নয়, বরং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মানচিত্রে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

এদিকে বাণিজ্যিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ, অবকাঠামো, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্প খাতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা সরেজমিনে মূল্যায়নের সুযোগ পাবেন।

চীন-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের এই উদ্যোগকে সরকার ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং আশা করা হচ্ছে—এটি দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারত্বে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

যে কারণে ইসলাম গ্রহণ করে অভিনয় ছেড়ে দেন দীপিকা

যে কারণে ইসলাম গ্রহণ করে অভিনয় ছেড়ে দেন দীপিকা

এটা সবারই জানা যে, ভারতের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। আর এটা নিয়ে তিনি গর্বিতও। এ বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আমি গর্বিত। আমি এখন মুসলমান।

এটাই আমার গর্বের বিষয়। তবে ২০২৩ সালে দীপিকা জানিয়েছেন,তিনি আর অভিনয় করবেন না।

এক সাক্ষাতকারে বলেন যে ২০১৮ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মূলত ধর্মীয় শিক্ষা ও শিষ্টাচারে অভিভূত হয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা সঠিক।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে ধর্ম পরিবর্তন করার পর নিজের নামও পরিবর্তন করেছেন তিনি। এখন আর দীপিকা কক্কর নাম ব্যবহার করেন না তিনি। নতুন নাম দিয়েছেন ‘ফাইজা’।

তবে ভক্তরা মনে করছেন যে, শোয়েবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন ভারতীয় দর্শকপ্রিয় সিরিয়াল ‘শশুরাল সিমর কা’ এর অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর।

দীপিকা বলেছিলেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আমার পরিবারও আমাকে সাহায্য করেছে। কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি ইসলামে প্রবেশ করিনি। আমি খুশিমনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নতুন জীবন খুব উপভোগ করছি। ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমারই ছিল।

তবে আমার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পরিবার সহায়তা করেছিল। কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমি ইসলামে প্রবেশ করিনি। আমি খুশিমনে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নতুন জীবন খুব উপভোগ করছি।’

তবে সাক্ষাৎকারে সব বিষয়ে কথা বলতে চাননি তিনি। বলেন, ‘আমার জীবনের কিছু অংশ একান্তই ব্যক্তিগত। কেউ আমার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক, তা আমার অপছন্দ।’ তিনি এখন নিভৃতে জীবনযাপন করতে চান।

২০১৮ সালে ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, ইসলামকে নিজের করার পর আমি খুব সুখী ও নিশ্চিন্ত। বিয়ের পর জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে এবং আমার মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি আনন্দ অর্জিত হয়েছে। ইসলাম নিয়ে বেশ পড়াশোনার পর ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি।

ভারতের জনপ্রিয় তারকা জুটি দীপিকা কাকর ও শোয়েব ইব্রাহিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। জানা যায়, বিয়ের সময় ২০১৮ সালেই সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন দীপিকা। আর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন বিখ্যাত রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস ১২’এর বিজয়ী দীপিকা।

সম্প্রতি এই অভিনেত্রীর পেটে টেনিস বলের মতো বড় একটি টিউমার ধরা পড়েছে। যার জন্য অস্তড়পচার করতে হবে।

Continue Reading

আলোচিত

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’
‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’

মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’

এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামী লীগারের জামিন হয়ে যায়। টাকা আর রাজনৈতিক সুপারিশ নাই বলে আওয়ামী আমলে জুলুমের শিকার অনেক মজলুমের জামিন হয় না। শাপলা হত্যাকাণ্ডে হেফাজতের ওপরে চাপানো মিথ্যা মামলায় অনেক মজলুম আলেম এখনো আদালতে চক্কর কাটে, কারাগারে বন্দি থাকে। অথচ এমন অনেক দাগী আসামি বিগত কয়েক মাসে জামিন পেয়েছে, যারা বিএনপির সাথে সংযুক্ত হলেও বিএনপির সময়ে তাদের কৃতকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে গিয়েছে। এগুলো কিভাবে হয়? কার সুপারিশে হয়? কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়?’

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’


সারজিস আলম আরও বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরল, তারপরও নয় মাসে একটা বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না! একটা খুনের বিচার হয় না! এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল স্যার কি কোনো ভাবে এড়াতে পারে? তাহলে কি আমাদের এখন তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়?’

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

সাত মাসে ২৫ বিয়ে তরুণীর, অতঃপর…

সাত মাসে ২৫ বিয়ে তরুণীর

সাত মাসে ২৫ জন পুরুষকে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে অর্থ ও গয়না লুট করে পালিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী। রাজস্থান পুলিশ অবিশ্বাস্য বিবাহ প্রতারণার মামলায় সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।

‘অনুরাধা পাসওয়ান’ নামের ওই নারীকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ‘লুট করে পালানো বধূ’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। 

অভিযুক্ত অনুরাধা আইনিভাবে বিয়ে করতেন। বিয়ের পর কয়েক দিন স্বামীর সঙ্গে থাকতেন এবং রাতে সুযোগ পেয়ে নগদ অর্থ, গয়না ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতেন।

তিনি একটি সংঘবদ্ধ গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যারা স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বিয়ের জন্য ব্যাকুল পুরুষদের টার্গেট করতো। অভিযুক্ত বধূর এজেন্টরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে নববধূদের ফটো দেখিয়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা চাইতো।

অনুরাধার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি করেন সাওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মা। চলতি মাসের ৩ মে পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন যে, তিনি সুনিতা ও পাপ্পু মীনা নামের দুই এজেন্টকে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বিয়ের ব্যবস্থা করতে। গত ২০ এপ্রিল কোর্ট ম্যারেজের পর অনুরাধা চলতি মাসের ২ মে বিষ্ণুর দেয়া গয়না ও জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।

বিষ্ণু শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘আন্ডারকভার অপারেশনে’ নামে পুলিশ। এক গোয়েন্দাকে ‘পাত্র’ সাজিয়ে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করানো হয়। যখন এজেন্টরা অনুরাধার ছবি পাঠায়, তখন ফোনের লোকেশন ফলো করে অভিযুক্ত বধূকে ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া সেই ব্যক্তি বেঁচে আছেন, আরও যা জানা গেলো

ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া সেই ব্যক্তি বেঁচে আছেন, আরও যা জানা গেলো

চলন্ত ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে একজনকে। তিনি প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছেন হাত ছাড়িয়ে নিতে। কিন্তু পেরে উঠছেন না। একপর্যায়ে পড়ে যান ট্রেনের নিচে। এ ঘটনার ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া থেকে সান্তাহার অভিমুখী আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর স্টেশনে একটি কমিউটার ট্রেনে ঘটনাটি ঘটে।

ওই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান (৪০)। তিনি বেঁচে আছেন। মতিউর পেশায় একজন দালাল। দূতাবাস এবং এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করেন। তার বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। তবে দুই বছর ধরে দূতাবাস এবং এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করছেন। ২০ দিন আগে উপজেলার তালশান গ্রামের হেলালের ছেলে সজীব হোসেনকে সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাঠান। সৌদি আরবে গিয়ে সজীবের বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় তার পরিবারের সদস্যরা ৭-৮ দিন আগে মতিউরের বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চান। এ নিয়ে সেখানে ঝামেলা হয়। এরই জের ধরে বগুড়া থেকে আসা ট্রেনে মতিউরকে একা পেয়ে সজীবের ছোট ভাই রাকিব এবং সজীবের শ্যালকরা মিলে ‘মোবাইল চোর’ এবং ‘ছিনতাইকারী’ আখ্যা দিয়ে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেন। এসময় তার কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগ মতিউরের পরিবারের।

ভুক্তভোগী মতিউর রহমানের ছেলে আহসান হাবিবের ভাষ্য, “আমার বাবা এখন পর্যন্ত ৩-৪ জনকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন। তারা সে দেশে ভালো আছেন। ১৫ দিন আগে আমার বাবা আদমদীঘি উপজেলার তালশন গ্রামের হেলালের ছেলে সজিব হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠান। সৌদি আরবে পাঠানো বাবদ তার কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় ৭-৮ দিন আগে সজীব তার বাবাকে আমাদের বাড়িতে পাঠান। তিনি এসে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যান। এরই জের ধরে বগুড়া থেকে ট্রেনে বাড়িতে ফেরার পথে সজিবের ছোট ভাই রাকিব এবং শ্যালকরা আমার বাবাকে ‘মোবাইল চোর’ বলে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় বাবা খুব কষ্ট করে ৪-৫ মিনিট ট্রেনে ঝুলে ছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাবার কাছে ব্যবসায়িক কাজের ৫০ হাজার টাকা ছিল, সেটিও তারা কেড়ে নেন। একপর্যায়ে ট্রেনটি আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর স্টেশনে পৌঁছালে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাবা ট্রেনের নিচে পড়ে যান। ট্রেনের নিচে পড়লেও কোনোরকম প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু সেখানকার উৎসুক জনতা বাবাকে ‘মোবাইল চোর’ এবং ‘ছিনতাইকারী’ ভেবে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। পরে বাবাকে কোনোরকম সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বিষয়টি অবগত করতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় গেয়ে পুলিশ বলে, আপনার বাবা জীবিত রয়েছে। মারা গেলে মামলা নেওয়া যেতো।”

উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মতিউরকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তার মাধ্যমে আমার দুই আত্মীয়কে বিদেশে পাঠিয়েছি। একজন সৌদি আরবে, আরেকজন মালয়েশিয়ায় আছে। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। মতিউরের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে কখনো কারও ঝামেলা হতেও দেখিনি।’

একই কথা জানান নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাকিব হোসেনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে সজিব হোসেনের বাবা হেলাল বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে মতিউরের মাধ্যমে চার লাখ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত মতিউর আমার ছেলেকে কোনো কাজ দিতে পারেনি। এ নিয়ে তার সঙ্গে অনেকবার দেখা করতে চেয়েছি। সে আমার সঙ্গে দেখা না করে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে ছেলের সম্পর্কে জানতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে কোনো ঝামেলা হয়নি।’

মতিউরকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে ছেলের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বগুড়া থেকে আসার সময় সজিবের শ্যালকেরা ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে মতিউরকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে রাকিব সেখানে কিছুই করেনি। ট্রেনে কী হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।’

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি রেলওয়ে থানা এলাকার মধ্যে। এজন্য এটি রেলওয়ে পুলিশের বিষয়। তাই আমরা কোনো অভিযোগ নিইনি।

এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তারা থানায় এসে সেন্ট্রির সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। তখন আমি ছিলাম না। এখনো যদি তারা অভিযোগ করেন তাহলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

সান্ডা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?

সান্ডা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
সান্ডা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?

কাঁটাযুক্ত লেজওয়ালা লিজার্ডের আরেকটি নাম ‘সান্ডা’। এটি টিকটিকির মতো দেখতে এক অদ্ভূত প্রাণী। সম্প্রতি আবদুল মান্নান নামের এক প্রবাসীর একটি রিলসে দেখা গেছে, একটি সান্ডা ফোঁসফোঁস করছে। মান্নান বলছেন, ‘ও ভাইরে ভাই… সাপের মতো ফঁস ফঁস করে, দেখেন, ওয়াও, অসাধারণ!’ তিনি এটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গে সান্ডা ফোঁস করে ওঠে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে সৌদির মরুভূমিতে কাজ করা অনেক বাঙালি প্রবাসীই সান্ডার ভিডিও শেয়ার করছেন। এদিকে সান্ডা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা।

জানা গেছে, আরবের ধনীরা মূলত সান্ডা খেতে অনেক পছন্দ করেন। এ জন্য আরব ধনীদের অধীনে কাজ করা শ্রমিক বা সেবকরা মরুভূমিতে গিয়ে সান্ডা খুঁজে আনেন।

প্রবাসীদের অনেকেই সান্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে লিখছেন, ‘ভিসা রিনিউ করতে হলে সান্ডা লাগবে।’

আবার কেউ লিখেছেন, ‘সান্ডা শিকার করতে না পারলে চাকরি থাকবে না।’

সান্ডা হাতে আবদুল মান্নান

সান্ডা হাতে আবদুল মান্নান


সান্ডা সম্পর্কে জানা যায়, এটি এক ধরণের টিকটিকি। কিন্তু এগুলো সাধারণ টিকটিকির থেকে নানা দিক দিয়ে আলাদা। সান্ডার শরীর মাংসল। নরম শরীরের এই প্রাণীর লেজটা অনেক বড় হয়ে থাকে। এই লেজ দিয়েই এরা শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করে। সান্ডা মাংসাশী নয়। এই প্রাণীটি শুকনো পাতা, ঘাস, লতা খেয়ে বাঁচে। মরুভূমির কঠিন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে এদের কোনো কষ্ট হয় না। বাংলাদেশেও অল্প পরিমাণে সান্ডার দেখা পাওয়া যায়। তবে অনেকে গুঁইসাপের সঙ্গে সান্ডাকে মিলিয়ে ফেলেন।
অনেকের ধারণা সান্ডা লিজার্ডের তেল খুব মূল্যবান এবং এর ওষুধী গুণ রয়েছে। কিন্তু এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

Continue Reading

Trending