Beanibazar View24
Beanibazar View24 is an Online News Portal. It brings you the latest news around the world 24 hours a day and It focuses most Beanibazar.

হায়রে স্বপ্নের দেশ আমেরিকা !







স্বপ্নের নগরী নিউইয়র্কে শুধু অর্থের ছড়াছড়ি। এখানে বসবাসরত মানুষের কোনো অভাব হয় না। অর্থ-বিত্তে তাবৎ দুনিয়ায় তারা সামনের কাতারে। নির্ঘু’ম এই নগরী নিয়ে যাঁরা এমনটাই জানেন—তাঁদের জেনে রাখা দরকার, প্রদীপের

নিচেও রয়েছে অন্ধ’কার। আলো ঝলমলে এই নগরে দিন দিন বেড়ে চলেছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। রাতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে পড়ে আছে গৃহহীন অসংখ্য মানুষ—হোমলেস নামে যাদের পরিচয় নিউইয়র্কে।



গৃহহীন মানুষের জন্য নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষে ডিপার্টমেন্ট অব হোমলেস সার্ভিস (ডিএইচএস) রয়েছে। এরপরও কমছে না গৃহহীন মানুষের সংখ্যা। রাতের নিউইয়র্কে দেখা যায়, এখানে-ওখানে শু’য়ে আছে হাজারো মানুষ। নিউইয়র্কের পাঁচ বরো কুইন্স, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কস, ম্যানহাটন ও স্ট্যাটান আইল্যান্ডে অসংখ্য গৃহহীন মানুষকে রাস্তার পাশে অথবা সাবওয়ে স্টেশনে সারি সারি শু’য়ে থাকতে দেওয়া যায়। খোদ নিউইয়র্ক নগরের মেয়র বিল ডি ব্লাজিও গৃহহীন মানুষের অবস্থা দেখে হ’তাশা প্রকাশ করেন।



নগর কর্তৃপক্ষের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল নগরে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা তেমন বেশি ছিল না। কিছু মানুষ গৃহহীন থাকলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তৎপরতায় ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে এসব মানুষের সংখ্যা সীমিত হয়ে আসে। ডিএইচএসের মতো সংস্থার অব্যাহত সহায়তা কার্যক্রমের ফলে নগরে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে নিউইয়র্কে আবার ছি’ন্নমূল মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০০২-২০১৩ সালে এই সংখ্যা দ্বি’গুণ আকার ধারণ করে। নগরের যত্রতত্র গৃহহীন মানুষকে শু’য়ে থাকতে দেখা যায়।



আইনি সহায়তা, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও গৃহহীন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় একাধিক মা’নবাধিকার সংস্থা উদ্বে’গ প্রকাশ করেছে।

এদিকে গৃহহীনের সংখ্যা বাড়ায় স্থানীয় অনেক সচেতন নাগরিক নগর কর্তৃপক্ষকে নয়, গৃহহীন মানুষের স্বভাবকে দায়ী করেন। আবার কাউকে কাউকে মন্তব্য করতে দেখা গেছে, গৃহহীন অনেক মানুষ মা’দকাস’ক্ত। তাই তারা মা’দক সে’বন করে রাস্তায় পড়ে থাকে।



ডিএইচএস থেকে ছিন্নমূল মানুষের জন্য একাধিক সেবা কার্যক্রম চালু রাখলেও অনেকেই সেই সেবা নিতে আগ্রহী নয়। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ডিএইচএস মাধ্যমে বিধিবিধান অনুযায়ী আবেদন করতে হয়। আবেদনের সঙ্গে কিছু আ’ইনি কাগজপত্রও জমা দিতে হয়। সেই আবেদন অনুযায়ী ক্যাটাগরি ভাগ করা হয়। তারপর যাবতীয় প্রক্রিয়া তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু তত দিন পর্যন্ত সুবিধা গ্রহণকারী প্রার্থীরা ধৈর্য ধরে বসে থাকতে পারে না। আবার অনেককে ফোন অথবা চিঠি পাঠিয়েও পাওয়া যায় না। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটা সময় পর বরাদ্দকৃত সুবিধা ফেরত নিয়ে যান।



অন্যদিকে গৃহহীনেরা সুবিধা ব’ঞ্চিত হয়ে মানুষের ধারে ধারে ও দোকানপাটে একটা কোয়ার্টার কিংবা ডলারের জন্য হাত পেতে থাকেন। তাদের পরনের পোশাকের অবস্থাও অত্যন্ত না’জুক। রাস্তায় পড়ে থাকা গৃহহীন মানুষের ওপর দিয়ে মশা মাছি উড়ছে। সম্প্রতি জ্যামাইকার একটি বাড়ির সামনে পড়ে থেকে একজন গৃহহীন মানুষ মা’রা গেছেন।

নিউইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে দুই শ-এর বেশি গৃহহীন মানুষকে প্রতিনিয়ত দেখা যায়। কেউ রাস্তায় পড়ে আছে, আবার কেউ মা’তাল হয়ে মা’তলা’মি করছে অথবা কেউ একপাশে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে।
সূত্রঃ প্রথম আলো














You might also like

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.