অর্থ পাচারের অভিযোগে সাবেক দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একজন সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অপরজন হলেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। খবর ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’র।
আরও পড়ুন:
- ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলেছে, তবে তারা মানুষ নয়!
- ধার্মিক ছেলে পেলে অভিনয় ছেড়ে সংসারে মন দেবেন প্রিয়াঙ্কা
- এই প্রথম গাড়ির গিয়ার এলো মোটরসাইকেলে
- ৩১ বছর পর দেশে ফিরছেন রেমিট্যান্সযোদ্ধা আবু বকর
- স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
নাহিদ ও মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
দুদক সূত্র জানায়, সিলেট-৬ আসনের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কমিশন গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদক বলছে- নিজ নামে উত্তরা আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটসহ ৫ কাঠা জমি, নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় ৩ কাঠা জমি, তার একক ও যৌথ মালিকানায় সিলেট বিয়ানীবাজারে অকৃষি জমি, তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা ও অন্যান্য বিনিয়োগ, স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা; গাড়ি ঢাকা মেট্রো-ঘ-১৮-৪৪০০ রয়েছে।
নাহিদ তার যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই ডা. নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বন্ধু কামাল আহমদের মাধ্যমে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। মন্ত্রী থাকাকালে ঠিকাদারদের থেকে কোটি কোটি টাকা কমিশনের বিনিময়ে হাতিয়েছেন। তার নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে অর্জন করেছেন বিপুল পরিমাণ সম্পদ।