আন্তর্জাতিক
হাসিনার মতো বিমানের সংকেত অদৃশ্য করে পালিয়েছেন আসাদ
রাজধানী দামেস্ক দখলে নেওয়ার বিদ্রোহীদের ঘোষণার মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। আসাদ সিরিয়া ছাড়ার পর সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দামেস্ক বিমানবন্দর এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে সরে যায়।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিমানের সংকেত গোপন করে ভারতে পালিয়ে যান, বাশার আল আসাদও সংকেত অদৃশ্য করে দেশ ছেড়েছেন।
বিদ্রোহীরা দামেস্ক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওপেন সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকাররা সিরিয়ার আকাশসীমায় একটি বিমান উড্ডয়নের রেকর্ড করে।
এতে দেখা যায়, ইলিউশিন ৭৬ বিমানটির ফ্লাইট নম্বর সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইট ছিল এটি। ওই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর বিমানবন্দর থেকে সরকারি সেনারা সরে যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, দামেস্ক থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইটে অবস্থান করছিলেন আসাদ। তবে তার গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকারদের দাবি, এটি পূর্বদিকে উড়েছিল। তারপরে এটি উত্তরে ঘুরছিল। কয়েক মিনিট পরে, এটি হোমস শহর প্রদক্ষিণ করার সঙ্গে সঙ্গে এর সংকেত অদৃশ্য হয়ে যায়।
গত ৫ আগস্ট তীব্র প্রাণঘাতি গনআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দেখে গণভবন থেকে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় হাবিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে পালান হাসিনা। হাসিনার পলায়নের পরপরই গণভবণ দখল নেয় লাখো বিক্ষু ছাত্র-জনতা।
হাসিনার ফ্লাইটপথ ও অবস্থান অন্যদের না জানাতে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময়। একটি উড়োজাহাজের অবস্থান, নাম, উচ্চতা, গতি এবং স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম জানাতে থাকে ট্রান্সপন্ডার। হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ভারতীয় আকাশসীমার কাছাকাছি প্রবেশের আগে এর ট্রান্সপন্ডার চালু করা হয়নি।
হাসিনার নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতের পর গণভবন ছেড়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ঠিক একইভাবে আসাদ উড়োজাহাজে চেপে বসার পর বিমানবন্দর ছেড়ে যায় সরকারি বাহিনী।
৫ আগস্ট কারফিউ চলাকালীন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল সেনাবাহিনী। ঠিক একইভাবে সিরিয়ার জেনারেলরা আসাদের সাথে কথা না বলেই হোমস থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। আরব দেশ ও পশ্চিমাশক্তির সঙ্গে কথা বলে তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়।
সিরিয়ান সংবাদসংস্থা সাউত আল আসিমার সূত্র বলছে, আরব দেশগুলো গত দুই দিন আসাদকে পদত্যাগের আহ্বান জানালেও উপস্থাপিত সব উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান হয়। আসাদ একটি দীর্ঘ ক্রান্তিকালীন পর্যায়ে জোর দিয়ে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে একটি সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন করা হবে।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক ব্যবহারকারী এমন খবরে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে জালিয়াতি করে নির্বাচন করার পর, অবশেষে তিনি (আসাদ) বৈধ নির্বাচন করতে চান?
গুনি ইয়াজার নামে আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আসাদের একগুয়েমি ব্যক্তিত্ব দুঃখ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনেনি। এটা কোনো নেতৃত্ব নয়; তার অহংকার বন্যপশুর হয়ে গেছে, তাকে বুঝতে হবে তার পতন ঘটতে যাচ্ছে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের জের ধরে সিরিয়ার বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্রমে তা রুপ নেয় গৃহযুদ্ধে। রাশিয়া আর ইরানের সমর্থনপুষ্ট বাশার আল আসাদ নিজের ক্ষমতা অনেকটা সংহত করে রাখতে পেরেছিলেন। কিন্তু ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের চূড়ান্ত আক্রমণ হাতে গত সপ্তাহ থেকে। নতুন লড়াইয়ে একের পর এক বড় বড় শহরের নিয়ন্ত্রণ হারায় সরকারি বাহিনী।
রোববার বিদ্রোহী দলগুলো টেলিগ্রাম বার্তায় জানায়, ‘বাথ শাসনের অধীনে ৫০ বছরের নিপীড়নের পরে, এবং ১৩ বছরের অপরাধ ও অত্যাচার এবং (জোর করে) বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর… আমরা আজ এই অন্ধকার সময়ের অবসান এবং সিরিয়ার জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা ঘোষণা করছি।’
১৯৭০ সালে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সামরিক বাহিনীর জেনারেল হাফিজ আল আসাদ সিরিয়ায় ক্ষমতা দখল করেন। তিনি ছিলেন আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টির নেতা। হাফিজ শক্ত হাতে তিন দশকের বেশি সময় সিরিয়া শাসন করেন। তিনি সিরিয়াকে ক্রমেই মুক্তবাজার অর্থনীতির দিকে নিতে থাকেন।
নিজের গোত্র আলাওয়াতিদের হাতে দেশের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন। গোটা দেশে নিজের ধ্যান ধারণা আর ব্যক্তিগত ক্যারিশমা প্রচার করার পাশাপাশি নিজের ক্ষমতাও অনেক বাড়িয়ে নেন। ২০০০ সালে তার মৃত্যু হয়। এরপর ওই বছরই মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ক্ষমতা গ্রহণ করেন তার কনিষ্ঠ ছেলে বাশার আল-আসাদ। বাশার প্রায় দু যুগ ধরে স্বৈরাাচারি কায়দায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন। টানা ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সিরিয়ায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছে।
৫ আগস্ট, আওয়ামী সরকারের পতনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে আন্দােলনরত ছাত্র-জনতা। ঠিক একইভাবে বাশার আল-আসাদের প্রয়াত পিতা ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলেছে বিক্ষোভকারী জনতা। দামেস্কের শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে জারমানা এলাকার একটি বড় মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি ভেঙে ফেলার ছবিও ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া হোমস শহর থেকে হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি ভেঙে টেনে হিঁচড়ে নেওয়া যাওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক
ভারতের মুরাদাবাদে গরু জবাইয়ের অভিযোগ তুলে মুসলিম যুবককে হত্যা
ভারতের মুরাদাবাদে এক মুসলিম যুবককে গরু জবাই করার সন্দেহে লাঠিসোটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ শাহেদিন কুরেশি। শাহেদিনকে এলাকার উগ্রবাদী হিন্দুরা মারধর করলে, গত সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর, বেশ কিছু মুসলিম প্রধান এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুরাদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার রণ বিজয় সিং জানান, ঘটনার পর, শাহেদিনকে মুরাদাবাদ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, রাত সাড়ে ১২টার সময় তার মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার সকালে, শাহেদিনের দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার।
কুমার রণ বিজয় সিং বলেন, শাহেদিন এবং তার সঙ্গীরা সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মণ্ডী সমিতি এলাকায় গরু জবাই করছিলেন, এমন অভিযোগ করেন এলাকার কিছু লোকজন। এসময়, ভিড় আসার খবরে শাহেদিনের সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও, শাহেদিনকে আটকে ফেলে তারা। পরবর্তীতে, শাহেদিনকে সেখানে গালিগালাজ ও বেধড়ক মারধর করা হয়।
কুমার রণ বিজয় সিং আরও জানান, ঘটনাস্থলে মৃত গরু পাওয়া গেছে। কিছু লোক এই ঘটনার জেরে শাহেদিনকে লাঠিসোটা ও রোড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত শাহেদিনের হত্যার সাথে সম্পর্কিত কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার রণ বিজয় সিং।
এদিকে, মজহোলা স্টেশন হাউস অফিসার মোহিত চৌধুরী জানান, গরু জবাইয়ের অভিযোগে নিহত শাহেদিন এবং মোহাম্মদ আদনানের (২৯) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম এফআইআর আইপিসি ধারা ৩০২-এর অধীনে শাহেদিনের ভাই মোহাম্মদ শাহজাদের অভিযোগে দায়ের করা হয়। দ্বিতীয় এফআইআর গরু জবাইয়ের অভিযোগে দায়ের করে মজহোলা পুলিশ। গত বুধবার শাহেদিনের সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত শাহেদিন একজন বডিবিল্ডার ছিলেন এবং তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। শাহেদিন, তার স্ত্রী রিজওয়ানা এবং ৩ ছেলে — আরাম (১৩), আশি (১১) এবং ইবজান (৯) সহ আসলতপুর এলাকায় বাস করতেন।
শাহেদিনের স্ত্রী রিজওয়ানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি পশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোন মানুষকে হত্যা করার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা কারা, যারা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়? আমার স্বামীর সাথে যা ঘটেছে, তা নৃশংস। তার অকাল মৃত্যু হয়েছে।’
শাহেদিনের ওপর হামলার ভিডিও সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় শাহেদিন মাটিতে পড়ে আছেন, কোন নড়াচড়া করছেন না।
আন্তর্জাতিক
ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি ভারতীয় কৃষকদের
বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও আলু রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের দুর্দশা চরমে। মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা ।
কৃষকরা অভিযোগ করছেন, আমাদের কষ্টার্জিত পণ্য রফতানির সুযোগ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের পথে বসানো হয়েছে। এখন এই পেঁয়াজ ও আলু শুভেন্দু অধিকারী আর রিপাবলিক টেলিভিশনের ময়ূখ রঞ্জনকেই কিনতে হবে। সেসময় উত্তেজিত কৃষকরা ময়ূখের বাড়ি ভেঙে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর অবস্থা বেগতিক দেখে কৃষকরা রিপাবলিক টেলিভিশনের সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করেন। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সংকট বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এক কৃষক বলেন, আমরা শুনছি, বাংলাদেশ আমাদের থেকে পেঁয়াজ নিতে চাইছে না। অথচ ময়ূখ বলে যাচ্ছে, তারা নাকি আমাদের পেঁয়াজ নিয়ে অপমান করেছে! এই বিভ্রান্তির জন্য ও-ই দায়ী। পাশাপাশি, কৃষকরা রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তুলোধুনো করেছেন।
এদিকে, পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাজ্যে চরম উত্তেজনা। রাস্তায় পেঁয়াজ-আলু ফেলে কৃষকরা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করছেন। তারা অভিযোগ করেন, “আমাদের কষ্ট কেউ বুঝতে পারছে না। তিন টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে, অথচ বাজারে ২০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়া যায় না।
আন্তর্জাতিক
এবার নাকে খত দিয়ে বাংলাদেশিদের কাছে ক্ষমা চাইছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা
ধসে পড়েছে কলকাতার ব্যবসা। ভারত বাংলাদেশকে যে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল উল্টো তারাই শিক্ষা পেয়ে গেছে কারণ কলকাতার অধিকাংশ ব্যবসায়ই বাংলাদেশি পর্যটকদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে কলকাতায় এখন হাহাকার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশিদের এখন ভিসা না দিয়ে উল্টো বিপদে পড়েছে ভারত।
পর্যটকশূন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের এখন মাথায় হাত। কেনাকাটা, চিকিৎসা ও পণ্য রপ্তানি করে ভারতের ব্যবসায়ীরা এতদিন দাপটের সাথে টিকে ছিল। এখন তারা হতাশাগ্রস্ত। খোদ ভারতের গণমাধ্যমগুলোতেই উঠে আসছে এমন তথ্যসমূহ।পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘প্রথম কলকাতা’ ব্যবসায়ীদের করুণ আর্তনাদের চিত্র তুলে ধরেছে। এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কাস্টমার একদম কমে গিয়েছে।
আমরা মূলত বাংলাদেশি কাস্টমারদের উপর নির্ভরশীল। হাসপাতালগুলো ফাঁকা, বেকার বসে আছে ডাক্তাররা। হাসপাতালের কতৃপক্ষরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা না আসায় আবাসন খাতেও ধস নেমেছে। ক্ষতির মুখে পড়ে এখন অনেক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছে। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে আছেন নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ থেকে হাসিনা চলে যাওয়ার মোদি সরকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যে প্রোপাগান্ডা দিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের জনগণের মধ্যে বিভেদের দেওয়াল তৈরি করেছে তাতে শাপে বর হয়েছে। কলকাতার এই দুর্দশার পর ভারত বুঝতে পারছে ড. ইউনূসের সাথে লড়তে হলে তাদেরই ক্ষতি হবে।
তাই ভারত বাংলাদেশের সাথে আগ বাড়িয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করছে। কয়েকদিন আগেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে এসে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে।
ভারতের কূটনীতি যে বাংলাদেশের কাছে ব্যর্থ হয়েছে তা প্রমাণিত। ভারত বয়কটের যে পরিকল্পনা তাতে কুপোকাত হয়েছে মোদি সরকার। ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এসবের জন্য মোদি সরকার ও সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জুকে দায়ী করছে। বাংলাদেশ আলু-পেঁয়াজ না কেনায় তাদের এখন মরণদশা।
তাই মোদি সরকারের পতন ও ময়ূখের শাস্তি দাবি করছেন তারা। ময়ূখের বািতে হামলা ও তার বাড়িকে পাবলিক টয়লেট বানানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের সাথে শত্রুতা করে ভারত নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবে।
আন্তর্জাতিক
সুখবর দিল ইতালি, স্পন্সর ভিসায় শ্রমিক নেবে ৪ লাখের বেশি
ইতালির শ্রমবাজারে অস্থির সময় কাটলেও স্পন্সর ভিসা পাওয়ায় এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শক্ত অবস্থানই এর মূল কারণ বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আগামী তিন বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে চার লাখেরও বেশি শ্রমিক নেবে ইতালি সরকার। তবে, এই সুযোগ পাওয়ার জন্য যেতে হয় দীর্ঘ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে।
অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে ইতালি সরকারের নেয়া কঠোর এই পদক্ষেপের ফলে এ বছর আবেদন জমার সংখ্যা কমেছে রেকর্ড সংখ্যক।
তবে ৩৬টি দেশের আবেদনকারীর তুলনায়, এবারও বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন বিভাগ।
বৈধ উপায়ে ইতালি যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
কঠোর নিয়মের পরও ইতালির স্পন্সর ভিসা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দৃঢ় অবস্থানই এর কারণ বলে মনে করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আন্তর্জাতিক
চান্স পেয়েও পূরণ হলো না কানাডায় পিএইচডির স্বপ্ন যমজ ২ বোনের
কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পিএইচডি করার জন্য মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি পাওয়া যমজ বোন ডালিয়া গাজি ইবাইদ এবং স্যালি গাজি ইবাইদ। তাদের স্বপ্ন ছিলো কানাডায় পিএইচডি শেষ করে ভালো ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তবে, স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেলো।
গত ৫ ডিসেম্বর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন দুই বোনই। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত দুই বোনর মৃত্যুর খবর সত্য বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে যে বলে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে যে “সিস্টেম ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করার জন্য ওয়াটারলুতে চান্স পাওয়া যমজ বোনদের মৃত্যুর খবর জানাতে পেরে গভীরভাবে দুঃখিত। তারা দু’বোনই ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ স্টুডেন্ট রিলিফ ফেলোশিপ (এসআরএফ) পেয়েছিলেন।”
‘ডালিয়া এবং স্যালিকে তাদের অসাধারণ একাডেমিক কৃতিত্ব এবং গবেষণার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয়েছে,’ বিশ্ববিদ্যালয় আরও জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি বোনদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি নোটও শেয়ার করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে তারা কানাডায় পড়াশোনার জন্য বৃত্তি পেয়েছে জেনে তারা ভীষণ আগ্রহী ছিলো। দুর্ভাগ্যবশত, তারা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পায়নি। আমাদের মেয়েদের যত্ন নেয়ার এবং সাহায্য করার জন্য আপনাকে (বিশ্ববিদ্যালয়) ধন্যবাদ।”
বিশেষ প্রতিবেদন
সরকারি চাকরি পাওয়ার সাথে সাথে যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে এনে জোরপূর্বক বিয়ে!
ভারতের বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অবনীশ কুমার। দ্রুতই শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিবেন তিনি। তবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের আগেই তার সাথে ঘটে গেছে অদ্ভুত এক ঘটনা।
প্রকৃতপক্ষে, ডজনখানেক লোক বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় অবনীশ এবং জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দেয়। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রিকশাযোগে স্কুলে যাওয়ার পথে দুটি গাড়ি তার পথরোধ করে। পরে গাড়ি থেকে ডজনখানেক লোক নেমে তাকে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অবনীশ কুমারের বাবার নাম সুধাকর রাই। বিহারের বেগুরসরাই জেলার রাজৌরার বাসিন্দা তিনি। তার পাশের জেলা লক্ষীসরাইয়ের গুঞ্জন নামের এক মেয়ের সঙ্গে তার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনা গুঞ্জনের আত্মীয়রা করেছে বলে জানায় অবনীশের পরিবার।
গুঞ্জন অভিযোগ করে বলেন, অবনীশের সঙ্গে আমার চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। সে আমাকে বিয়ে করে সংসার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
তার স্কুলেও আমাকে নিয়ে গিয়েছিল। আমি যখন আমার পরিবারকে বিষয়টি জানাই এবং তাকেও বিয়ের জন্য বলি তখন সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। যার কারণে বর তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেছি।
- আন্তর্জাতিক9 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
- প্রবাস3 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
- প্রবাস3 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
- আন্তর্জাতিক2 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
- প্রবাস3 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
- প্রবাস2 months ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
- আন্তর্জাতিক3 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা
- বিনোদন9 months ago
জীবনযাপন আর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে যে তথ্য জানালেন অপু বিশ্বাস