Beanibazarview24.com
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোট এলাকায় বিমান হামলা চালানোর দাবি করেছে ভারত। দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের জইশ-ই-মুহাম্মদ, হিজবুল্লাহ মুজাহেদিন এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিমান হামলায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ভারতের বিমানবাহিনী ২১ মিনিটের ওই হামলায় মিরাজ ১০০০ থেকে ২০০০ কেজি ওজনের বোমা বর্ষণ করেছে। মোট পাঁচ থেকে ছয়টি বোমা ফেলা হয়েছে। আর এই পুরো অভিযান সফল করতে ৬ হাজার ৩০০ কোটি রুপির সম্পদ ব্যবহার করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, শুধু বালাকোটে বোমা ফেলতে ১ কোটি ৭ লাখ রুপি ব্যবহার করেছে ভারত।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে লেজার গাইডেড ১০০০ কেজি ওজনের বোমা হামলা চালানো হয়। এই বোমার একেকটির দাম ৫৬ লাখ ভারতীয় রুপি। ২১ মিনিটের ওই অভিযানে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের বালাকোট, মুজাফফরাবাদ এবং চোকথিতে বোমাবর্ষণ করা হয়। এতে এই বিশাল অর্থের সম্পদ ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছিল আরও ৩ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপির যুদ্ধ সরঞ্জাম। কোনো বিমান হামলা ব্যর্থ হলে অথবা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা হলে এসব অস্ত্র সরঞ্জাম ব্যবহার করা হত।
ওই অভিযানের সময় পাকিস্তানের আকাশসীমায় বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য এয়ারবোন ওয়ার্নিং এবং কন্ট্রোলিং সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছিল। অভিযানের সময় একটি বিমান একটি যন্ত্রের সাহায্যে শুধুই নজরদারির কাজ করেছে যে যন্ত্রের দাম প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি রুপি।
অভিযানের সময় কোনো বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে আকাশপথেই জ্বালানি ভরার জন্য তৈরি ছিল বিশেষ বিমান। বিশেষ সেই বিমানের ট্যাংকারের দাম প্রায় ২২ কোটি রুপি। এ ছাড়া আকাশে নজরদারি চালিয়েছে ৮০ কোটি রুপির ড্রোন।
এ ছাড়া যে কোনো পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার তৈরি তিনটি সুখোই সু থার্টি এম কে আই উড়োজাহাজ। এর প্রতিটির দাম ৩৫৮ কোটি রুপি। একই সঙ্গে প্রস্তুত ছিল পাঁচটি মিগ-২৯ এস যুদ্ধবিমান। মিগ-২৯ বিমানের প্রতিটির দাম ১৫৪ কোটি ভারতীয় রুপি। হামলায় ব্যবহৃত ১২টি মিরাজ ২০০০ বিমানের প্রত্যেকটির দাম ২১৪ কোটি রুপি।
এগুলো ছাড়াও ভারতের গোয়ালিয়র এয়ারবেস থেকে হামলার জন্য প্রস্তুত রাখা ছিল আরও বিমান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি লেজার গাইডেড ২২৫ কেজি জিবিইউ-১২ বোমাও প্রস্তুত রাখা ছিল। এগুলো ১৯৭৬ সালে তৈরি। এই বোমাগুলোর প্রতিটির দাম ১৪ লাখ রুপি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.