বাংলাদেশ
জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের নিপীড়িতের বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ: ঢাবি শিবির সভাপতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেছেন, জুলাই বিপ্লব ছিল সর্বস্তরের নিপীড়িতের চূড়ান্ত সম্মিলিত বিক্ষুব্ধ বিস্ফোরণ। এই গণবিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের শহীদরা। খোদা প্রদত্ত জানকে কোরবানি করে তারা সাম্য ও ইনসানিয়াতভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জিম্মাদারি আমাদের হাতে অর্পণ করে গেছেন।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, এই আন্দোলন শহীদ আবু সাঈদের রক্তের ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন, শহীদ মীর মুগ্ধের স্মৃতির ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন। যে রিকশাওয়ালা ভাই ক্রমাগত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে শহীদ হয়েছেন তার কোরবানির ওপর দাঁড়ানো আন্দোলন। সহস্রাধিক শহীদ আমাদের পথ দেখিয়েছেন এক নতুন মঞ্জিলে-মাকসুদ : Bangladesh 2.0।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনে যেমন অবদান ছিল সমাজের উঁচুতলার মানুষের, আবার আন্দোলনের ভ্যানগার্ড ছিল সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীরাও। ইংলিশ মিডিয়ামের টেক স্যাভি কিড থেকে শুরু করে কওমি-আলিয়ার তালেবে এলেম, শাহবাগ-ধানমন্ডি-মিরপুর-উত্তরা-সাভার থেকে শুরু করে বাংলার স্টালিনগ্রাদ হয়ে ওঠা যাত্রাবাড়ী, শহর-নগর, গ্রাম-গ্রামান্তরে এই বিপ্লব ছিল আপনার, আমার, সবার।
ঢাবি শিবির সভাপতি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা থেকে বিপ্লবের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়েছিল প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-স্কুল-কলেজে। এ আওয়াজ রুদ্ধপ্রচেষ্টা রুখে দিয়েছিল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়ে উঠেছিল গণমানুষের কণ্ঠস্বর। এই বিপ্লব ছিল শ্রমিক, দিনমজুরের। আন্দোলন ছিল সাহসী সাংবাদিক, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসী ভাইবোনদেরও। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রবাসীরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন দেশ ও জাতির মুক্তির স্লোগান তুলে।
তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের পছন্দ করেন, অপছন্দ করেন, ঘৃণা করেন; যারা আমার সংগঠন ছাত্রশিবিরকে ভালোবাসেন, অবজ্ঞা করেন, ঘৃণা করেন- কার্যত সবার অবদানেই আমরা পেয়েছি ৩৬শে জুলাইয়ের মহাবিজয়। ফতহে মক্কা, ফতহে বাঙ্গালা, ফতহে কুসতুনতিনিয়ার সিলসিলা ধরে আমরা পেয়েছি ফতহে গণভবন- যেদিন গণভবন সত্যিই গণের ভবনে পরিণত হয়।
সাদিক কায়েম বলেন, প্রতিটা ইনসান রাস্তায় নেমে এসেছিলো, ‘আমার ভাই মরলো কেন’ সওয়ালের জবাব চাইতে। এই প্রশ্নের প্রতিউত্তরে যখন তাদের ওপর হায়েনার মত হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছে, তখনই আমাদের শহীদেরা দাঁড়িয়ে গেছেন লড়াইয়ের ভ্যানগার্ড হিসেবে। এই আন্দোলনের সমস্ত কৃতিত্ব আমাদের শহীদ ও হাত-পা-চোখ হারানোসহ নানাভাবে আহত ভাই-বোনের। যাদেরকে বুলেটের গুলি কিংবা জুলুম কোনকিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি। তারা একজন শহীদ হওয়ার পরে আরেকজন দাঁড়িয়ে গেছেন দু:শাসন ও স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষাকে বুকে নিয়ে।
তিনি বলেন, শত জুলুম এবং স্লো পয়জনিংয়ের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া, জামায়াতে ইসলামীসহ দেড় যুগ ধরে তিলে তিলে ইনকিলাবের জমিন চাষ করা মজলুম সব বিরোধী দল, ইলিয়াস আলী, মাইকেল চাকমা, ব্যারিস্টার আরমান ও জেনারেল আযমি থেকে শুরু করে ফাঁসি-গুম-ক্রসফায়ারে হারিয়ে যাওয়া আমাদের সব সিপাহসালার ও সহযোদ্ধা, শাপলা-শাহবাগ দ্বন্দ্বকে পাশে রেখে শহুরে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর সমর্থন, ভাইদের হেফাজতের ঢাল হিসেবে বোনদের বুনইয়ানুম মারসুস তথা সিসাঢালা প্রাচীর হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়া, ফ্যাসিস্টদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সর্বপ্রকার ব্ল্যাকমেইলকে উপেক্ষা করে পাহাড়-সমতলের ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের সহযোদ্ধা হয়ে ওঠা, মাদরাসার তালেবে এলেম এবং আলেম-উলামার অকাতরে জান-মালের কোরবানি এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই ইনকিলাবের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
ঢাবি শিবির সভাপতি আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ থেকে আয়নাঘর, শাপলা থেকে শুরু করে মোদীবিরোধী আন্দোলন, শেয়ারবাজারে নি:স্ব মজলুম পরিবার থেকে শুরু করে সাংবাদিক সাগর-রুনির সন্তান মেঘ- ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ছিল জুলাই ইনকিলাবের জ্বালানি। আর শহীদরা ছিলেন সীমাহীন উজ্জ্বল স্ফুলিঙ্গ।
সাদিক কায়েম বলেন, শহীদ-গাজীর স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যারা জিন্দা আছি তাদের সামনে এক সুদীর্ঘ পথ। আমাদের শহীদদের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। আমরা কামিয়াব না হলে বিফল হয়ে যাবে ’৪৭, ’৭১ ও ’২৪ এর সব শহীদের রক্ত। আমাদের দৃষ্টিশক্তি হারানো ভাইদের দৃষ্টিশক্তি কোরবানি বিফলে চলে যাবে, যদি আমরা বৈষম্যহীন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ে তুলতে না পারি।
সব শেষে তিনি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের শহীদদের প্রত্যেককে শাহাদাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। তাদের রক্তের হক আদায় করে, আমাদের একটি সুখী-সমৃদ্ধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ এবং ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার তৌফিক দিন। আমিন।
আলোচিত
সচিবালয়ে ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন
রাজধানীর সচিবালয়ে লাগা ভয়াবহ আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীর নাম মো. সোহানুর জামান নয়ন। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর থানার আটপনিয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তার মূল কর্মস্থল ছিল সিলেটের বিশ্বনাথ ফায়ার স্টেশন। তিনি তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনে সংযুক্ত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাকের ধাক্কায় সোহানুর জামান নয়ন গুরুতর আহত হন। পানির পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য বিকল্পভাবে পানির ব্যবস্থা করছিলেন। এসময় তিনি পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। হঠাৎ দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। মাথায় পরা হেলমেটটি সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায়। রাস্তায় ছিটকে পড়ে রক্ত। ঘটনার পর গণপূর্ত ভবনের সামনে দিয়ে ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার সময় এর চালকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ট্রাকটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় সামনে গিয়ে ব্যারিকেড দেন তারা। তখন চালক ট্রাক থামান। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উত্তেজিত জনতা চালককে মারতে উদ্যত হন। তখন সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর আগে রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। এরপর তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে আরও দুটি ইউনিট বাড়ানো হয়।
আলোচিত
ওবায়দুল কাদেরের ‘বান্ধবী’ উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ‘বান্ধবী’ আরজিনা পারভীন চাঁদনী গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিএনপির একটি অঙ্গসংগঠনের কমিটি নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের কমিটি অনুমোদিত করা হয়েছে।
গত ২০ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের কমিটির তালিকা প্রকাশ করে। এই কমিটিতে আরজিনা পারভীন চাঁদনীকে সভাপতি ও সুরাইয়া বেগম শিউলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে এই কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দলীয় নেতাকর্মীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ফেসবুকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের নতুন সভাপতি আরজিনা পারভীন চাঁদনী এর আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তার।
চাঁদনী ছাড়াও ওই কমিটির সাংগাঠনিক পদে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী নাসিমা আক্তার। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি ছিলেন।
এই ব্যাপারে পলাশবাড়ী পৌরসভার বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, ৫ আগস্টের আগে দলের পক্ষে তাদের কোনো ভূমিকাই ছিল না। অবশ্যই অর্থের বিনিময়ে এই কমিটি দেয়া হয়েছে।’
অবিলম্বে তিনি এই কমিটি বাতিল করে প্রকৃত বিএনপি এবং ত্যাগী কর্মীদের সমন্বয়ে একটি শতভাগ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে চাঁদনী জানান, আওয়ামী লীগ করার প্রশ্নই উঠে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছবি তোলা ভিন্ন বিষয়। এ রকম ছবি বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও রয়েছে। আমার বাবা ও পরিবার বিএনপির রাজনীতি করেন এবং এখনো একজন জনপ্রতিনিধি।
গাইবান্ধা জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন শোভা বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলেন, পলাশবাড়ী মহিলা দলের কমিটি গঠন বা অনুমোদনের বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি।
তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন
আলোচিত
তিনদিন ধরে নিখোঁজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসানকে তিনদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকেল থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
সিসিটিভি ফুটেজে সর্বশেষ তাকে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বরে দেখা গেছে।
এরপর গত তিন দিন ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। খালিদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষণপাড়ায়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।
মানবন্ধনে খালিদের বাবা লুৎফর রহমান বলেন, আমার ছেলে বেঁচে আছে কি না, জানি না। আমি জানি না তার বন্ধু আছে, না শত্রু আছে। আপনারা যেভাবে পারেন, আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দিন।
তিনি বলেন, খালিদের ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করার, সেটা সফল হয়েছে। তার কি হয়েছে জানি না। আমার দিন নাই, রাত নাই। আজ এই অফিস, কাল ওই অফিস দৌড়াদৌড়ি করছি, কাজ হচ্ছে না। সে যে অবস্থায় থাকুক, তাকে উদ্ধার করে দিন।
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়, তাদের নানাভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। খালেদ কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ। আমরা তার সন্ধান চাই।
সহ-সমন্বয়ক সরদার নাদিম শুভ বলেন, খালেদ ৭২ ঘণ্টা থেকে নিখোঁজ। অথচ পুলিশ কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। সরকারে গোয়েন্দা সংস্থা কি করছে প্রশ্ন করে বিষয়টিকে ‘লজ্জা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে নানা তথ্য অনুসন্ধান করেও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এখনো খালিদের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, রোববার আমাদের লোক গোয়েন্দা অফিসে ছিল। তারা সকল ফোন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চেক করেছে। সব সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। রাত সোয়া একটায় ডিবি এসেছে ক্যাম্পাসে। তারা রাত ৩টা পর্যন্ত তারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে যে এমন কোনো আলামত পাওয়া যায় কিনা, যা দেখে বোঝা যায়, সে কোথায় গিয়েছে।
প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, খালিদের বাবার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ও ছোটখাট ব্যবসা করত, সেসব বিষয়ে কোনো সমস্যা বা এলাকার বন্ধুবান্ধব বা বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা, সব ডিটেইলস নেওয়া হয়েছে। আমরা নানা দিক থেকে ঘটনাটা দেখেছি। প্রেমঘটিত কোনো জটিলতা আছে কিনা। কাল রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে পারেনি।
প্রক্টর বলেন, আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ওর বাইক রেখে গেছে। ফোন রেখে গেছে। আমরা যেসব ভিডিও দেখেছি, খুব ক্যাজুয়ালি সে বেরিয়ে গেছে। আমরা এখনো কোনো ক্লু পাইনি। আজকে তার বাবা-মা এবং ভাইবোন এসেছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে আবারও কথা বলেছি। পুলিশ-সিআইডি কাজ করছে। আমরা দেখি আজ কোনো তথ্য পাওয়া যায় কিনা। আমরা অপেক্ষা করছি।
বিশেষ প্রতিবেদন
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী
দেশের তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য ঢাকায় আসছেন নাসার প্রধান মহাকাশচারী জোসেফ এম. আকাবা।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। আজই ঢাকায় পা রাখবেন তিনি।
মহাকাশচারীর সফরের অংশ হিসেবে থাকবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা পর্ব, যেখানে তিনি তাদের মহাকাশ বিজ্ঞান, রোবোটিক্স এবং স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি,প্রকৌশল, গণিত) শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করবেন।
এ ছাড়া আকাবা মহাকাশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ছাড়াও আকাবা একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে তিনি বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নাসার অবদান এবং মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
আকাবা যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষক, হাইড্রোজিওলজিস্ট এবং পিস কর্পসের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক। ২০০৪ সালে নাসার মহাকাশচারী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত প্রথম পুয়ের্তো রিকো বংশোদ্ভূত ব্যক্তি তিনি। পরে ২০২৩ সালে আকাবাকে নাসার নভোচারী কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিশেষ প্রতিবেদন
ইউরোপের আট দেশের ভিসা দেবে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস
ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের সহযোগিতায় বহুজাতিক ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস সংস্থা ভিএফএস গ্লোবাল আগামী মঙ্গলবার থেকে বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেনে যাওয়ার জন্য শেনজেন ভিসা আবেদনের জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম চালু করবে। আজ রবিবার ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে সব আবেদনকারীকে অবশ্যই ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আগাম একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। ‘ওয়াক-ইন’ আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লটটি আবেদনকারীর ব্যক্তিগত। তাই স্লটটি আবেদনকারীকেই বুক করতে হবে।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার সময় ভিএফএস গ্লোবাল একটি পরিষেবা ফি ধার্য করবে। আবেদনকারী যদি অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উপস্থিত না হন বা নির্ধারিত সময়ের সস্নটের ২৪ ঘণ্টা আগে এটি বাতিল করেন তবে ফি ফেরত দেওয়া হবে না বলে ওই বার্তায় বলা হয়েছে।
ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য যদি বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেন ভ্রমণ করা হয় তাহলে অনুগ্রহ করে শুধু ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধানের জন্য অনুগ্রহ করে ভিএফএস হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সর্বজনীন ছুটি ছাড়া রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (+৮৮) ০৯৬০৬৭৭৭৩৩৩ বা (+৮৮) ০৯৬৬৬৯১১৩৮২ নম্বরে ভিএফএস হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়াও https://vfsforms.mioot.com/forms/CFNC/-এ যোগাযোগ ফর্মের মাধ্যমে ভিএফএস গ্লোবালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।
বাংলাদেশ
শাহাজালাল বিমানবন্দরে ৪ কেজির বেশি পাখির নখ নিয়ে আগমন, ভারতীয় যুবক আটক
ঢাকার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় নাগরিকের সন্দেহজনক চলাফেরা চোখে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের। সন্দেহ হওয়ায় তার ব্যাগ তল্লাশী করে পাওয়া যায় হাজার হাজার পাখির নখ। মেপে যার ওজন পাওয়া যায় ৪ কেজির বেশি। যা আইন লঙ্ঘন করে গোপনে বহন করছিলেন তিনি।
শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে পাখির নখ নিয়ে আসেন ভারতীয় নাগরিক জাকির হোসাইন। কেন পাখির নখ নিয়ে এসেছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে মিরপুরের একজন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে এই নখগুলো এনেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় জাকির হোসাইনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মামলা করেছে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
এ বিষয়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট পরিদর্শক অসীম মল্লিক বাংলাভিশনকে বলেন, তাকে সন্দেহ হলে কাস্টমস আমাদের খবর দেয়। আমরা এসে প্রথমে জানতে চাইলে সে তথ্য দেয় এগুলো আর্টিফিশিয়াল। কিন্তু, চেক করে আমরা দেখতে পাই পাখির নক। তখন সে জানায় এগুলো স্যুপ হিসেবে খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পাখির নখ খাবার হিসেবে গ্রহণের কোন নজির নেই জানিয়ে আমরা পুনরায় জবাবদিহীতা করলে সে জানায়, এই নখগুলোর ব্যাপারে সে কিছুই জানে না, শুধু সে বহন করেছে।
তিনি আরও বলেন, জাকির হোসাইনের কথায় কোন মিল না থাকায় আমরা তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করেছি এবং অধিকতর তদন্তের জন্য আমাদের ল্যাবে নখের নমুনা পাঠিয়েছি। সে মিরপুরের একজন ব্যক্তির কাছে আসার কথা জানিয়েছে। সে আসলে কার কাছে এসেছে, কেন এগুলো এনেছে সেটি নিয়ে গভীর তদন্ত প্রয়োজন। আশা করি পুলিশ কাজ শুরু করবে। নিশ্চয়ই পুরো চক্র ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদী।
এদিকে চলতি সপ্তাহে ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে পাচারের সময় কাছিমেরও একটি চালান জব্দ করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। সংস্থাটি বলছে, একটি এই বন্যপ্রাণী ও প্রাণীর অংশগুলো চীনে পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তারা।
উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী বা প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ আমদানি, রফতানি ও বহন আন্তর্জাতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত। এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ। বৈধ কোন কারণে এটি আমদানি রফতানি করতে হলে প্রয়োজন হয় আমদানিকারক ও রফতানিকারী উভয় দেশের লিখিত অনুমতি। কিন্ত, এই নিয়ম না মেনে সম্পূর্ণ গোপনে পাখির নখগুলো বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন জাকির।
-
আন্তর্জাতিক8 months ago
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হচ্ছে ব্রাজিলের ভিসা
-
প্রবাস2 months ago
স্থায়ী হওয়ার আশায় কানাডায় পাড়ি দিয়ে হতাশায় ডুবছেন বাংলাদেশিরা
-
প্রবাস2 months ago
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের নতুন নিয়ম
-
আন্তর্জাতিক2 months ago
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
-
প্রবাস2 months ago
লন্ডনে সমকামী সেজে সিলেটী তরুণের স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা, অবশেষে…
-
প্রবাস1 month ago
কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন, বিপাকে বাংলাদেশিরাও
-
আন্তর্জাতিক2 months ago
কানাডার নায়াগ্রা জলপ্রপাত থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লাফ দিলেন মা
-
সিলেট1 month ago
মুনতাহার হাতে থাকা আপেলটিও খেতে দেয়নি তারা