Connect with us

বিশেষ প্রতিবেদন

প্রেমের টানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নারী

প্রেমের টানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নারী

প্রেমের টানে ফেনীর সোনাগাজীতে এসে জামশেদ আলম রাজুকে (২৫) নামের এক যুবককে বিয়ে করেছেন সেন্ডোরা ব্রোক্স (৫৫) নামের যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা। আজ সোমবার তাদের বিয়ে হয়।

জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে রাজু ও সেন্ডোরা ব্রোক্সের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ে উপলক্ষে শনিবার সেন্ডোরা ব্রোক্স বাংলাদেশে আসেন। আজ বিয়ের পর নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।

জামশেদ আলম রাজু ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট রাজু। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। আর সেন্ডোরা ব্রোক্স যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা।

রাজু বলেন, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এরপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে সেন্ডোরা ব্রোক্স। সে আমাকে ভালোবেসে এখানে এসেছে। সুখে-দুঃখে আমরা দুজন একসঙ্গে থাকতে চাই বলে অঙ্গীকার করেছি। এজন্য সকলের দোয়া চাই।’

ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কস্থ অভিজাত রেস্টুরেন্টে সোমবার দুপুরে পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয় এ দম্পতির। ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। এর আগে সেন্ডোরা ব্রোক্স খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তার নাম লামিয়া।

স্বজন ও বর যাত্রীরা বলেন, প্রেমের টানে কনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেনীতে এসেছে। এই বিয়েতে এসে খুব ভালো লাগছে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।

ফেনী জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, কনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দশ লাখ টাকা দেন মোহরে ও এক লাখ টাকা উসুলে মুসলিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তারা। এদেশের একজন ছেলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একজন উচ্চ শিক্ষিত নারীর বিয়ে হয়েছে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী ও সুন্দর হোক।

Continue Reading

আলোচিত

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’
‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’

মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?’

এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামী লীগারের জামিন হয়ে যায়। টাকা আর রাজনৈতিক সুপারিশ নাই বলে আওয়ামী আমলে জুলুমের শিকার অনেক মজলুমের জামিন হয় না। শাপলা হত্যাকাণ্ডে হেফাজতের ওপরে চাপানো মিথ্যা মামলায় অনেক মজলুম আলেম এখনো আদালতে চক্কর কাটে, কারাগারে বন্দি থাকে। অথচ এমন অনেক দাগী আসামি বিগত কয়েক মাসে জামিন পেয়েছে, যারা বিএনপির সাথে সংযুক্ত হলেও বিএনপির সময়ে তাদের কৃতকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে গিয়েছে। এগুলো কিভাবে হয়? কার সুপারিশে হয়? কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়?’

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’

‘মব তৈরি করে যদি রায় নেওয়া যায় তাহলে হাইকোর্টের দরকার কি’


সারজিস আলম আরও বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরল, তারপরও নয় মাসে একটা বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না! একটা খুনের বিচার হয় না! এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল স্যার কি কোনো ভাবে এড়াতে পারে? তাহলে কি আমাদের এখন তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়?’

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

সাত মাসে ২৫ বিয়ে তরুণীর, অতঃপর…

সাত মাসে ২৫ বিয়ে তরুণীর

সাত মাসে ২৫ জন পুরুষকে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে অর্থ ও গয়না লুট করে পালিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী। রাজস্থান পুলিশ অবিশ্বাস্য বিবাহ প্রতারণার মামলায় সেই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছেন। মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।

‘অনুরাধা পাসওয়ান’ নামের ওই নারীকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ‘লুট করে পালানো বধূ’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। 

অভিযুক্ত অনুরাধা আইনিভাবে বিয়ে করতেন। বিয়ের পর কয়েক দিন স্বামীর সঙ্গে থাকতেন এবং রাতে সুযোগ পেয়ে নগদ অর্থ, গয়না ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতেন।

তিনি একটি সংঘবদ্ধ গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যারা স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বিয়ের জন্য ব্যাকুল পুরুষদের টার্গেট করতো। অভিযুক্ত বধূর এজেন্টরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে নববধূদের ফটো দেখিয়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা চাইতো।

অনুরাধার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি করেন সাওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মা। চলতি মাসের ৩ মে পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন যে, তিনি সুনিতা ও পাপ্পু মীনা নামের দুই এজেন্টকে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বিয়ের ব্যবস্থা করতে। গত ২০ এপ্রিল কোর্ট ম্যারেজের পর অনুরাধা চলতি মাসের ২ মে বিষ্ণুর দেয়া গয়না ও জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।

বিষ্ণু শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘আন্ডারকভার অপারেশনে’ নামে পুলিশ। এক গোয়েন্দাকে ‘পাত্র’ সাজিয়ে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করানো হয়। যখন এজেন্টরা অনুরাধার ছবি পাঠায়, তখন ফোনের লোকেশন ফলো করে অভিযুক্ত বধূকে ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া সেই ব্যক্তি বেঁচে আছেন, আরও যা জানা গেলো

ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া সেই ব্যক্তি বেঁচে আছেন, আরও যা জানা গেলো

চলন্ত ট্রেনের দরজার বাইরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে একজনকে। তিনি প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছেন হাত ছাড়িয়ে নিতে। কিন্তু পেরে উঠছেন না। একপর্যায়ে পড়ে যান ট্রেনের নিচে। এ ঘটনার ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া থেকে সান্তাহার অভিমুখী আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর স্টেশনে একটি কমিউটার ট্রেনে ঘটনাটি ঘটে।

ওই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান (৪০)। তিনি বেঁচে আছেন। মতিউর পেশায় একজন দালাল। দূতাবাস এবং এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করেন। তার বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মতিউর রহমান পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। তবে দুই বছর ধরে দূতাবাস এবং এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর কাজ করছেন। ২০ দিন আগে উপজেলার তালশান গ্রামের হেলালের ছেলে সজীব হোসেনকে সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে পাঠান। সৌদি আরবে গিয়ে সজীবের বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় তার পরিবারের সদস্যরা ৭-৮ দিন আগে মতিউরের বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চান। এ নিয়ে সেখানে ঝামেলা হয়। এরই জের ধরে বগুড়া থেকে আসা ট্রেনে মতিউরকে একা পেয়ে সজীবের ছোট ভাই রাকিব এবং সজীবের শ্যালকরা মিলে ‘মোবাইল চোর’ এবং ‘ছিনতাইকারী’ আখ্যা দিয়ে তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেন। এসময় তার কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগ মতিউরের পরিবারের।

ভুক্তভোগী মতিউর রহমানের ছেলে আহসান হাবিবের ভাষ্য, “আমার বাবা এখন পর্যন্ত ৩-৪ জনকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন। তারা সে দেশে ভালো আছেন। ১৫ দিন আগে আমার বাবা আদমদীঘি উপজেলার তালশন গ্রামের হেলালের ছেলে সজিব হোসেনকে সৌদি আরবে পাঠান। সৌদি আরবে পাঠানো বাবদ তার কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে বৈধ কাগজপত্র পেতে দেরি হওয়ায় ৭-৮ দিন আগে সজীব তার বাবাকে আমাদের বাড়িতে পাঠান। তিনি এসে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে যান। এরই জের ধরে বগুড়া থেকে ট্রেনে বাড়িতে ফেরার পথে সজিবের ছোট ভাই রাকিব এবং শ্যালকরা আমার বাবাকে ‘মোবাইল চোর’ বলে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় বাবা খুব কষ্ট করে ৪-৫ মিনিট ট্রেনে ঝুলে ছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “বাবার কাছে ব্যবসায়িক কাজের ৫০ হাজার টাকা ছিল, সেটিও তারা কেড়ে নেন। একপর্যায়ে ট্রেনটি আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর স্টেশনে পৌঁছালে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাবা ট্রেনের নিচে পড়ে যান। ট্রেনের নিচে পড়লেও কোনোরকম প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু সেখানকার উৎসুক জনতা বাবাকে ‘মোবাইল চোর’ এবং ‘ছিনতাইকারী’ ভেবে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। পরে বাবাকে কোনোরকম সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বিষয়টি অবগত করতে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় গেয়ে পুলিশ বলে, আপনার বাবা জীবিত রয়েছে। মারা গেলে মামলা নেওয়া যেতো।”

উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মতিউরকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তার মাধ্যমে আমার দুই আত্মীয়কে বিদেশে পাঠিয়েছি। একজন সৌদি আরবে, আরেকজন মালয়েশিয়ায় আছে। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। মতিউরের সঙ্গে লেনদেন নিয়ে কখনো কারও ঝামেলা হতেও দেখিনি।’

একই কথা জানান নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাকিব হোসেনের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে সজিব হোসেনের বাবা হেলাল বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে মতিউরের মাধ্যমে চার লাখ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত মতিউর আমার ছেলেকে কোনো কাজ দিতে পারেনি। এ নিয়ে তার সঙ্গে অনেকবার দেখা করতে চেয়েছি। সে আমার সঙ্গে দেখা না করে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগে ছেলের সম্পর্কে জানতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে কোনো ঝামেলা হয়নি।’

মতিউরকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে ছেলের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বগুড়া থেকে আসার সময় সজিবের শ্যালকেরা ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে মতিউরকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে রাকিব সেখানে কিছুই করেনি। ট্রেনে কী হয়েছে সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।’

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি রেলওয়ে থানা এলাকার মধ্যে। এজন্য এটি রেলওয়ে পুলিশের বিষয়। তাই আমরা কোনো অভিযোগ নিইনি।

এ বিষয়ে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তারা থানায় এসে সেন্ট্রির সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। তখন আমি ছিলাম না। এখনো যদি তারা অভিযোগ করেন তাহলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

সান্ডা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?

সান্ডা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?
সান্ডা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?

কাঁটাযুক্ত লেজওয়ালা লিজার্ডের আরেকটি নাম ‘সান্ডা’। এটি টিকটিকির মতো দেখতে এক অদ্ভূত প্রাণী। সম্প্রতি আবদুল মান্নান নামের এক প্রবাসীর একটি রিলসে দেখা গেছে, একটি সান্ডা ফোঁসফোঁস করছে। মান্নান বলছেন, ‘ও ভাইরে ভাই… সাপের মতো ফঁস ফঁস করে, দেখেন, ওয়াও, অসাধারণ!’ তিনি এটুকু বলার সঙ্গে সঙ্গে সান্ডা ফোঁস করে ওঠে। ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে সৌদির মরুভূমিতে কাজ করা অনেক বাঙালি প্রবাসীই সান্ডার ভিডিও শেয়ার করছেন। এদিকে সান্ডা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা।

জানা গেছে, আরবের ধনীরা মূলত সান্ডা খেতে অনেক পছন্দ করেন। এ জন্য আরব ধনীদের অধীনে কাজ করা শ্রমিক বা সেবকরা মরুভূমিতে গিয়ে সান্ডা খুঁজে আনেন।

প্রবাসীদের অনেকেই সান্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে লিখছেন, ‘ভিসা রিনিউ করতে হলে সান্ডা লাগবে।’

আবার কেউ লিখেছেন, ‘সান্ডা শিকার করতে না পারলে চাকরি থাকবে না।’

সান্ডা হাতে আবদুল মান্নান

সান্ডা হাতে আবদুল মান্নান


সান্ডা সম্পর্কে জানা যায়, এটি এক ধরণের টিকটিকি। কিন্তু এগুলো সাধারণ টিকটিকির থেকে নানা দিক দিয়ে আলাদা। সান্ডার শরীর মাংসল। নরম শরীরের এই প্রাণীর লেজটা অনেক বড় হয়ে থাকে। এই লেজ দিয়েই এরা শত্রুর আক্রমণ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করে। সান্ডা মাংসাশী নয়। এই প্রাণীটি শুকনো পাতা, ঘাস, লতা খেয়ে বাঁচে। মরুভূমির কঠিন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে এদের কোনো কষ্ট হয় না। বাংলাদেশেও অল্প পরিমাণে সান্ডার দেখা পাওয়া যায়। তবে অনেকে গুঁইসাপের সঙ্গে সান্ডাকে মিলিয়ে ফেলেন।
অনেকের ধারণা সান্ডা লিজার্ডের তেল খুব মূল্যবান এবং এর ওষুধী গুণ রয়েছে। কিন্তু এই ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

Continue Reading

আলোচিত

সান্ডা ভেবে গুঁইসাপ ধরলেন যুবক, অতঃপর…

সান্ডা ভেবে গুঁইসাপ ধরলেন যুবক, অতঃপর...

রংপুরের পীরগাছায় সান্ডা ভেবে একটি গুইসাপ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার সুখানপুকুর এলাকার আবু নাঈম রাহাদের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে গুইসাপটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, সকালবেলা স্থানীয়রা সান্ডা ভেবে গুইসাপটি ধরে ফেলেন। তাঁরা এটিকে একটি গোয়ালঘরে আটকে রাখেন। প্রাণীটিকে সান্ডা ভেবে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

‘ওয়াইল্ডলাইফ স্ন্যাক অ্যান্ড রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশ’-এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সোহেলের কাছে এই খবর পৌঁছায়। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত লোকজনকে প্রাণীটির প্রকৃত পরিচয় জানিয়ে সবার বিভ্রান্তি দূর করেন। এরপর গুইসাপটি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হয়।

মাহমুদুল হাসান সোহেল বলেন, ‘গুইসাপ পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। এটি সান্ডা নয় এবং মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। তাই কেউ এ ধরনের প্রাণী দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে বন বিভাগ বা আমাদের সঙ্গে যেন যোগাযোগ করেন।’

স্থানীয়রা ওয়াইল্ডলাইফ স্ন্যাক অ্যান্ড রেসকিউ টিম ইন বাংলাদেশের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং ভবিষ্যতে সচেতন থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Continue Reading

আলোচিত

ট্রেনে ডাকাতি শেষে অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ডাকাতের!

ট্রেনে ডাকাতি শেষে অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ডাকাতের!
ট্রেনে ডাকাতি শেষে অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব ডাকাতের!

টালিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র রিমঝিম মিত্র। গত দুই দশক ধরে বাংলা সিরিয়াল জগতকে সমৃদ্ধ করছেন তিনি। বর্তমানে তাকে দেখা যাচ্ছে নানা সিরিয়ালে। তবে অধিকাংশই তিনি ভ্যাম্পের চরিত্রে অভিনয় করছেন। অর্থাৎ খলনায়িকার চরিত্রে।

এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা রিমঝিমের কাছে এক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তবে আজও অবিবাহিতই থেকে গেছেন রিমঝিম। সংসার পাতেননি তিনি।

প্রিয়জন বলতেই তার মা। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া অঞ্চলে বাড়ি রিমঝিমের। একটি অ্যাপার্টমেন্টে মাকে নিয়ে থাকেন রিমঝিম। সেই রিমঝিমের কাছেই একবার এসেছিল বিয়ের প্রস্তাব। এবং সেই প্রস্তাবে এসেছিল ডাকাতের থেকে।

কেবল অভিনয় নয়। অভিনেত্রী রিমঝিম দুর্দান্ত ভালো নাচেন। অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের ব্যালেট ট্রুপে নিয়মিত নৃত্য পরিবেশন করতেন তিনি। মমতা শঙ্কর ব্যালট ট্রুপের সঙ্গে এ রাজ্যে, ও রাজ্যে নাচের অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। তেমনই এক নাচের অনুষ্ঠান করতে ঝাড়খণ্ডে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালিত একটি টকশোতে এসেছিলেন তিনি। সেই টক শোতে তিনি জানিয়েছিলেন, ডাকাতের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন।

রিমঝিম বলেন, ‘স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। সামনে দেখি বেশকিছু সুদর্শন দেখতে ছেলে রয়েছে। আমাদের তখন কিশোরী বয়স। সবেমাত্র ছেলেদের দেখে মোহিত হচ্ছি। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সেই সুপুরুষদের দেখে আমাদের মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। তারপর লোডশেডিং হয় স্টেশনে। আলো ফিরতেই দেখি, ছেলেগুলো উধাও। আমরা যথারীতি ট্রেনের কামরায় উঠে পড়ি। মম মাসি, অর্থাৎ মমতা শঙ্কর তার নাচের দলের মেয়েদেরকে একসঙ্গে নিয়ে বসে ছিলেন একটি কামরায়। হঠাৎই মাঝপথে ট্রেন থেমে যায়। আমি এবং আমার এক বান্ধবী টয়লেটে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ট্রেন থেমে গেছে। টয়লেটের বাইরে বেরিয়ে দেখি মম মাসির স্বামী এবং আমাদের নাচের দলের একজন আসছেন হন্তদন্ত হয়ে। তার মাথা থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। জিজ্ঞেস করেন, ওরা আসেনি তো এখানে?’

‘তাকে দেখেই চমকে গেলাম। তিনি আমাদের এসেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘ওরা আসেনি তো এখানে?’ আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম, ‘ওরা মানে কারা?’ তিনি জানালেন, ট্রেনে একদল ছেলে আমাদেরকে দেখে মোহিত হয়েছিল। তারা সবাই ডাকাত। ট্রেন থামিয়ে ডাকাতি করছিল।’

রিমঝিম আরও বলেন, ‘এসময় মম মাসির স্বামী আমাদের দুজনকে বাথরুমেই ঢুকে যেতে বলেন। বাইরে থেকে শুনতে পাই ছেলেগুলো এসে বলছে, নাচের মেয়েগুলো কোথায়। ওদের ডাক। ওদেরকে বিয়ে করব, সংসার করব।’

Continue Reading

Trending