প্রেমের টানে ফেনীর সোনাগাজীতে এসে জামশেদ আলম রাজুকে (২৫) নামের এক যুবককে বিয়ে করেছেন সেন্ডোরা ব্রোক্স (৫৫) নামের যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা। আজ সোমবার তাদের বিয়ে হয়।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে রাজু ও সেন্ডোরা ব্রোক্সের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ে উপলক্ষে শনিবার সেন্ডোরা ব্রোক্স বাংলাদেশে আসেন। আজ বিয়ের পর নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
জামশেদ আলম রাজু ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব সফরপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট রাজু। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। আর সেন্ডোরা ব্রোক্স যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা।
রাজু বলেন, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এরপর ধীরে ধীরে ভালো লাগা থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে দু’জনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে সেন্ডোরা ব্রোক্স। সে আমাকে ভালোবেসে এখানে এসেছে। সুখে-দুঃখে আমরা দুজন একসঙ্গে থাকতে চাই বলে অঙ্গীকার করেছি। এজন্য সকলের দোয়া চাই।’
ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কস্থ অভিজাত রেস্টুরেন্টে সোমবার দুপুরে পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয় এ দম্পতির। ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। এর আগে সেন্ডোরা ব্রোক্স খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে তার নাম লামিয়া।
স্বজন ও বর যাত্রীরা বলেন, প্রেমের টানে কনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেনীতে এসেছে। এই বিয়েতে এসে খুব ভালো লাগছে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।
ফেনী জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, কনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়। দশ লাখ টাকা দেন মোহরে ও এক লাখ টাকা উসুলে মুসলিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তারা। এদেশের একজন ছেলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একজন উচ্চ শিক্ষিত নারীর বিয়ে হয়েছে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী ও সুন্দর হোক।