Connect with us

বাংলাদেশ

লাশ রেখে গোপনে কানাডা পাড়ি দেন পারভীন, রেখে যান প্রতিশোধের বার্তা

লাশ রেখে গোপনে কানাডা পাড়ি দেন পারভীন, রেখে যান প্রতিশোধের বার্তা

‘আমার জীবনের শান্তি নষ্ট করে দিয়েছে এই র‍্যাপিস্ট, ব্ল্যাকমেইলার। সে তার নিজের ইচ্ছায় আমার হাতে ধরা দিয়েছে। নিজের হাতে এই র‍্যাপিস্ট, ব্লাকমেইলারকে মেরে শান্তি নিলাম।’

গত শনিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ‘স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট’ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পাশ থেকে এই চিরকুটটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম আরিফুল ইসলাম (২৭)। তিনি গত ১৭ মে পারভীন আক্তার (৩৩) নামে এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছিলেন। পারভীন আক্তার কানাডা প্রবাসী। তাঁর বাড়িও নরসিংদীর মনোহরদী।

পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে, পারভীন আক্তার ওই যুবকের লাশ রেখে কানাডায় পালিয়ে গেছেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

পুলিশ জানিয়েছে, আরিফুল ও পারভীন পূর্ব পরিচিত। দুজনে ওই অ্যাপার্টমেন্টে গত ১৭ মে বিকেল ৪টায় ওঠেন। পরদিন সকাল ৬টা ৩১ মিনিটে পারভীন একাই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান।

পুলিশের ধারণা, ১৭ মে রাতের কোনো এক সময় আরিফকে হত্যা করে থাকতে পারেন পারভীন। এরপর সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কুয়েত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কানাডা চলে যান। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি–ব্লকের সাফায়েত সড়কের ১ /এফ বাড়িটি স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট হিসেবে পরিচালনা করে আসছে মাটি প্রপার্টিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ভবনটিতে থিয়েটার হল, ছোট ছোট বেশ কয়েকটি কক্ষ, রেস্ট রুম, বিনোদন রুম, রেস্টুরেন্ট, সুইমিংপুল রয়েছে। এখানে দেশি বিদেশি মানুষ অবসর যাপনের জন্য আসেন।

গত ১৭ মে আরিফুল ইসলাম ও পারভীন আক্তার স্বামী–স্ত্রী পরিচয়ে দোতলার একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন। অনলাইনে সাত দিনের জন্য বুকিং দিয়েছিলেন আরিফুল। তাঁরা ওঠার ১৪ দিন পর গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে মাটি প্রপার্টিজ থেকে ভাটারা থানায় ফোন কল করে জানানো হয়, দোতলার ফ্ল্যাটে একজনের লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলা ও বুক কাটা, পচা–গলা লাশ পায়। প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

এই ঘটনায় রোববার (২ জুন) আরিফের বড়বোন সাফরিজা আক্তার রেলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় পারভীন আক্তার, তাঁর কানাডা প্রবাসী স্বামী নাজমুল ইসলাম বাবু (৩৩), মাটি প্রোপার্টিজের মালিক, ম্যানেজার, কর্মচারীসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত নাজমুল ও পারভীনের বাড়িও নরসিংদী।
লাশ রেখে গোপনে কানাডা পাড়ি দেন পারভীন, রেখে যান প্রতিশোধের বার্তা
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সিআইডি ক্রাইমসিন আলামত সংগ্রহ করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পারভীন আক্তার গোপনে ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর নোটারি পাবলিক করে আরিফুল ইসলামকে বিয়ে করেন। এরপর স্বামীর সঙ্গে কানাডায় চলে যান। আরিফুল চলে যান জাপানে। সেখানে নাচুকি নামে এক জাপানি তরুণীকে বিয়ে করেন। এতে পারভীন আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি দিতেন। পারভীন ও তাঁর স্বামী পরিকল্পনা করে জাপান থেকে ঢাকায় এনে আরিফকে খুন করেছেন।

এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৩১ মে রাত সোয়া ৮টার দিকে আরিফুলের জাপানি স্ত্রী বাদীকে ফোন কল দিয়ে জানান, গত ১৭ মে আরিফ ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে তাঁকে ফোনে পাচ্ছেন না। এরপর আরিফকে তাঁর পরিবার থেকেও ফোন করা হয়। কিন্তু নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

আরিফের বোন সাফরিজা আক্তার রেলি বলেন, পারভীন ও তাঁর স্বামী এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। পারভীন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঠান্ডা মাথায় ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আরিফুল গোপনে দেশে আসেন। পরিবারের কেউ জানতেন না। এরপর পুরোনো বান্ধবী পারভিন আক্তারকে নিয়ে তিনি বসুন্ধরার স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট ওঠেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেছে তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের দৃশ্য ধরা পড়েছে। পারভীনের মোবাইল নম্বরের সর্বশেষ অবস্থান ছিল হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা। ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য বলছে, গত ১৮ মে পারভীন দেশ ছেড়ে কানাডা চলে গেছেন।

আরিফুলের লাশের পাশ থেকে চিরকুট ছাড়াও একটি নোটারি উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, আরিফ এবং পারভীন ২০২১ সালে নোটারি পাবলিক করে বিয়ে করেন। সেখানে পারভীন ও আরিফের স্বাক্ষর রয়েছে।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত রহমান শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযুক্ত পারভীন ১৮ মে সকালে পালিয়ে কানাডা গেছেন। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

Continue Reading

আলোচিত

সচিবালয়ে ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন

সচিবালয়ে ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন

রাজধানীর সচিবালয়ে লাগা ভয়াবহ আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় আহত সেই ফায়ার সার্ভিস কর্মী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীর নাম মো. সোহানুর জামান নয়ন। তিনি রংপুরের মিঠাপুকুর থানার আটপনিয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তার মূল কর্মস্থল ছিল সিলেটের বিশ্বনাথ ফায়ার স্টেশন। তিনি তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনে সংযুক্ত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাকের ধাক্কায় সোহানুর জামান নয়ন গুরুতর আহত হন। পানির পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য বিকল্পভাবে পানির ব্যবস্থা করছিলেন। এসময় তিনি পাইপ কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। হঠাৎ দ্রুতগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। মাথায় পরা হেলমেটটি সঙ্গে সঙ্গে খুলে যায়। রাস্তায় ছিটকে পড়ে রক্ত। ঘটনার পর গণপূর্ত ভবনের সামনে দিয়ে ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার সময় এর চালকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, ট্রাকটি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় সামনে গিয়ে ব্যারিকেড দেন তারা। তখন চালক ট্রাক থামান। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উত্তেজিত জনতা চালককে মারতে উদ্যত হন। তখন সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এর আগে রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। প্রথমে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটটি রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। এরপর তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৮ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে আরও দুটি ইউনিট বাড়ানো হয়।

Continue Reading

আলোচিত

ওবায়দুল কাদেরের ‘বান্ধবী’ উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি

ওবায়দুল কাদেরের ‘বান্ধবী’ উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ‘বান্ধবী’ আরজিনা পারভীন চাঁদনী গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিএনপির একটি অঙ্গসংগঠনের কমিটি নিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের কমিটি অনুমোদিত করা হয়েছে।

গত ২০ ডিসেম্বর গাইবান্ধা জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের কমিটির তালিকা প্রকাশ করে। এই কমিটিতে আরজিনা পারভীন চাঁদনীকে সভাপতি ও সুরাইয়া বেগম শিউলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে এই কমিটির তালিকা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দলীয় নেতাকর্মীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ফেসবুকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের নতুন সভাপতি আরজিনা পারভীন চাঁদনী এর আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তার।

চাঁদনী ছাড়াও ওই কমিটির সাংগাঠনিক পদে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেত্রী নাসিমা আক্তার। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি ছিলেন।

এই ব্যাপারে পলাশবাড়ী পৌরসভার বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে, ৫ আগস্টের আগে দলের পক্ষে তাদের কোনো ভূমিকাই ছিল না। অবশ্যই অর্থের বিনিময়ে এই কমিটি দেয়া হয়েছে।’

অবিলম্বে তিনি এই কমিটি বাতিল করে প্রকৃত বিএনপি এবং ত্যাগী কর্মীদের সমন্বয়ে একটি শতভাগ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে চাঁদনী জানান, আওয়ামী লীগ করার প্রশ্নই উঠে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ছবি তোলা ভিন্ন বিষয়। এ রকম ছবি বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও রয়েছে। আমার বাবা ও পরিবার বিএনপির রাজনীতি করেন এবং এখনো একজন জনপ্রতিনিধি।

গাইবান্ধা জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন শোভা বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী উপজেলা মহিলা দলের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক বলেন, পলাশবাড়ী মহিলা দলের কমিটি গঠন বা অনুমোদনের বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি।
তথ্যসূত্র: একুশে টেলিভিশন

Continue Reading

আলোচিত

তিনদিন ধরে নিখোঁজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক

তিনদিন ধরে নিখোঁজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ হাসানকে তিনদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকেল থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

সিসিটিভি ফুটেজে সর্বশেষ তাকে গত শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে ঢাবির দোয়েল চত্বরে দেখা গেছে।

এরপর গত তিন দিন ধরে তার কোনো খোঁজ নেই। খালিদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষণপাড়ায়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।

মানবন্ধনে খালিদের বাবা লুৎফর রহমান বলেন, আমার ছেলে বেঁচে আছে কি না, জানি না। আমি জানি না তার বন্ধু আছে, না শত্রু আছে। আপনারা যেভাবে পারেন, আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দিন।

তিনি বলেন, খালিদের ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করার, সেটা সফল হয়েছে। তার কি হয়েছে জানি না। আমার দিন নাই, রাত নাই। আজ এই অফিস, কাল ওই অফিস দৌড়াদৌড়ি করছি, কাজ হচ্ছে না। সে যে অবস্থায় থাকুক, তাকে উদ্ধার করে দিন।

আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যারা জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়, তাদের নানাভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। খালেদ কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ। আমরা তার সন্ধান চাই।

সহ-সমন্বয়ক সরদার নাদিম শুভ বলেন, খালেদ ৭২ ঘণ্টা থেকে নিখোঁজ। অথচ পুলিশ কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। সরকারে গোয়েন্দা সংস্থা কি করছে প্রশ্ন করে বিষয়টিকে ‘লজ্জা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে নানা তথ্য অনুসন্ধান করেও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এখনো খালিদের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ।

তিনি বলেন, রোববার আমাদের লোক গোয়েন্দা অফিসে ছিল। তারা সকল ফোন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চেক করেছে। সব সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। রাত সোয়া একটায় ডিবি এসেছে ক্যাম্পাসে। তারা রাত ৩টা পর্যন্ত তারা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে যে এমন কোনো আলামত পাওয়া যায় কিনা, যা দেখে বোঝা যায়, সে কোথায় গিয়েছে।

প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ আরও বলেন, খালিদের বাবার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ও ছোটখাট ব্যবসা করত, সেসব বিষয়ে কোনো সমস্যা বা এলাকার বন্ধুবান্ধব বা বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছে কিনা, সব ডিটেইলস নেওয়া হয়েছে। আমরা নানা দিক থেকে ঘটনাটা দেখেছি। প্রেমঘটিত কোনো জটিলতা আছে কিনা। কাল রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে পারেনি।

প্রক্টর বলেন, আশ্চর্যের ব্যাপার হলো ওর বাইক রেখে গেছে। ফোন রেখে গেছে। আমরা যেসব ভিডিও দেখেছি, খুব ক্যাজুয়ালি সে বেরিয়ে গেছে। আমরা এখনো কোনো ক্লু পাইনি। আজকে তার বাবা-মা এবং ভাইবোন এসেছিলেন। আমরা তাদের সঙ্গে আবারও কথা বলেছি। পুলিশ-সিআইডি কাজ করছে। আমরা দেখি আজ কোনো তথ্য পাওয়া যায় কিনা। আমরা অপেক্ষা করছি।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী

দেশের তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য ঢাকায় আসছেন নাসার প্রধান মহাকাশচারী জোসেফ এম. আকাবা।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। আজই ঢাকায় পা রাখবেন তিনি।

মহাকাশচারীর সফরের অংশ হিসেবে থাকবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা পর্ব, যেখানে তিনি তাদের মহাকাশ বিজ্ঞান, রোবোটিক্স এবং স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি,প্রকৌশল, গণিত) শিক্ষায় ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রাণিত করবেন।

এ ছাড়া আকাবা মহাকাশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন।

প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ছাড়াও আকাবা একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করবেন। সেখানে তিনি বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নাসার অবদান এবং মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।

আকাবা যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষক, হাইড্রোজিওলজিস্ট এবং পিস কর্পসের সাবেক স্বেচ্ছাসেবক। ২০০৪ সালে নাসার মহাকাশচারী প্রার্থী হিসেবে মনোনীত প্রথম পুয়ের্তো রিকো বংশোদ্ভূত ব্যক্তি তিনি। পরে ২০২৩ সালে আকাবাকে নাসার নভোচারী কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

Continue Reading

বিশেষ প্রতিবেদন

ইউরোপের আট দেশের ভিসা দেবে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস

ইউরোপের আট দেশের ভিসা দেবে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস

ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের সহযোগিতায় বহুজাতিক ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস সংস্থা ভিএফএস গ্লোবাল আগামী মঙ্গলবার থেকে বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেনে যাওয়ার জন্য শেনজেন ভিসা আবেদনের জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম চালু করবে। আজ রবিবার ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তায় বলা হয়, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে সব আবেদনকারীকে অবশ্যই ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে শেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে আগাম একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। ‘ওয়াক-ইন’ আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লটটি আবেদনকারীর ব্যক্তিগত। তাই স্লটটি আবেদনকারীকেই বুক করতে হবে।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করার সময় ভিএফএস গ্লোবাল একটি পরিষেবা ফি ধার্য করবে। আবেদনকারী যদি অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উপস্থিত না হন বা নির্ধারিত সময়ের সস্নটের ২৪ ঘণ্টা আগে এটি বাতিল করেন তবে ফি ফেরত দেওয়া হবে না বলে ওই বার্তায় বলা হয়েছে।

ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য যদি বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া বা সুইডেন ভ্রমণ করা হয় তাহলে অনুগ্রহ করে শুধু ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল সুইডেনের সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে বলা হয়েছে।

অনুসন্ধানের জন্য অনুগ্রহ করে ভিএফএস হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সর্বজনীন ছুটি ছাড়া রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত (+৮৮) ০৯৬০৬৭৭৭৩৩৩ বা (+৮৮) ০৯৬৬৬৯১১৩৮২ নম্বরে ভিএফএস হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়াও https://vfsforms.mioot.com/forms/CFNC/-এ যোগাযোগ ফর্মের মাধ্যমে ভিএফএস গ্লোবালের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।

Continue Reading

বাংলাদেশ

শাহাজালাল বিমানবন্দরে ৪ কেজির বেশি পাখির নখ নিয়ে আগমন, ভারতীয় যুবক আটক

শাহাজালাল বিমানবন্দরে ৪ কেজির বেশি পাখির নখ নিয়ে আগমন, ভারতীয় যুবক আটক

ঢাকার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় নাগরিকের সন্দেহজনক চলাফেরা চোখে পড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের। সন্দেহ হওয়ায় তার ব্যাগ তল্লাশী করে পাওয়া যায় হাজার হাজার পাখির নখ। মেপে যার ওজন পাওয়া যায় ৪ কেজির বেশি। যা আইন লঙ্ঘন করে গোপনে বহন করছিলেন তিনি।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে পাখির নখ নিয়ে আসেন ভারতীয় নাগরিক জাকির হোসাইন। কেন পাখির নখ নিয়ে এসেছে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে মিরপুরের একজন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে এই নখগুলো এনেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় জাকির হোসাইনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মামলা করেছে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।

এ বিষয়ে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট পরিদর্শক অসীম মল্লিক বাংলাভিশনকে বলেন, তাকে সন্দেহ হলে কাস্টমস আমাদের খবর দেয়। আমরা এসে প্রথমে জানতে চাইলে সে তথ্য দেয় এগুলো আর্টিফিশিয়াল। কিন্তু, চেক করে আমরা দেখতে পাই পাখির নক। তখন সে জানায় এগুলো স্যুপ হিসেবে খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু পাখির নখ খাবার হিসেবে গ্রহণের কোন নজির নেই জানিয়ে আমরা পুনরায় জবাবদিহীতা করলে সে জানায়, এই নখগুলোর ব্যাপারে সে কিছুই জানে না, শুধু সে বহন করেছে।

তিনি আরও বলেন, জাকির হোসাইনের কথায় কোন মিল না থাকায় আমরা তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় হস্তান্তর করেছি এবং অধিকতর তদন্তের জন্য আমাদের ল্যাবে নখের নমুনা পাঠিয়েছি। সে মিরপুরের একজন ব্যক্তির কাছে আসার কথা জানিয়েছে। সে আসলে কার কাছে এসেছে, কেন এগুলো এনেছে সেটি নিয়ে গভীর তদন্ত প্রয়োজন। আশা করি পুলিশ কাজ শুরু করবে। নিশ্চয়ই পুরো চক্র ধরা পড়বে বলে আমরা আশাবাদী।

এদিকে চলতি সপ্তাহে ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে পাচারের সময় কাছিমেরও একটি চালান জব্দ করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। সংস্থাটি বলছে, একটি এই বন্যপ্রাণী ও প্রাণীর অংশগুলো চীনে পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তারা।

উল্লেখ্য, বন্যপ্রাণী বা প্রাণীর শরীরের কোনো অংশ আমদানি, রফতানি ও বহন আন্তর্জাতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত। এটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ। বৈধ কোন কারণে এটি আমদানি রফতানি করতে হলে প্রয়োজন হয় আমদানিকারক ও রফতানিকারী উভয় দেশের লিখিত অনুমতি। কিন্ত, এই নিয়ম না মেনে সম্পূর্ণ গোপনে পাখির নখগুলো বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন জাকির।

Continue Reading

Trending

Copyright © Beanibazar View24 2015-2024. all rights reserved.